জো বাইডেন (বাঁয়ে) ও ডোনাল্ড ট্রাম্প / ছবি : সংগৃহীত
দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত চুক্তি পাস করতে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয়বারের মতো মেক্সিকো সীমান্তে সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বৃহস্পতিবার মেক্সিকো সীমান্তে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
টেক্সাসের ব্রাউনসভিলে সফর করবেন বাইডেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এল পাসোতে সীমান্ত সফরে গিয়েছিলেন তিনি। ডিসেম্বরে অভিবাসী সংঘর্ষ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর সীমান্তে না যাওয়ায় রিপাবলিকানদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বাইডেন।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রাউনসভিলে বর্ডার পেট্রোল এজেন্ট, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মার্কিন সিনেটের দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত সুরক্ষা চুক্তি পাস করার জরুরি প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করবেন। যা কয়েক দশকের মধ্যে সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য সবচেয়ে কঠিন সংস্কার।
মার্কিন কংগ্রেসকে দ্বিদলীয় অভিবাসন চুক্তি পাস করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বাইডেন। যার মধ্যে রয়েছে আশ্রয় প্রোটোকলে পরিবর্তন, অভিবাসন পর্যালোচনা জোরদার করার জন্য তহবিল এবং অতিরিক্ত বর্ডার প্যাট্রোল এজেন্ট নিয়োগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের জন্য নতুন জরুরি ক্ষমতা।
হাউজ রিপাবলিকানরা ইউক্রেইনকে বৈদেশিক সহায়তা এবং ইযরায়েলকে অভিবাসন সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানানোর পর কয়েক মাসের আলোচনার ফলাফল এই চুক্তি।
তবে স্পিকার মাইক জনসন প্রস্তাবটিকে ‘মৃত’ বলে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে এটি সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য যথেষ্ট নয়।
ট্রাম্পের কাছ থেকে এটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য চাপের মধ্যে রয়েছেন রিপাবলিকানরা। কারণ তিনি অভিবাসন ইস্যুটিকে নির্বাচনি প্রচারণার মূল ইস্যুতে পরিণত করতে চাইছেন।
হোয়াইট হাউজে গভর্নরদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন এই চুক্তি সম্পর্কে বলেন, কিছু না করা কোনো বিকল্প নয়। সমঝোতা প্রক্রিয়ার অংশ। ওই চুক্তিতে আমি যা চেয়েছিলাম তা পাইনি। আমরা ড্রিমারদের সঙ্গে চুক্তি করিনি। আমরা এমন অনেক কিছুই করিনি যা আমাদের করা উচিত বলে আমি মনে করি। কিন্তু আপনারা জানেন এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রশাসনের এক কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে বলেছেন, ক্যাপিটল হিলে অচলাবস্থার মধ্যে বাইডেন আশ্রয়ের বিধিনিষেধ কঠোর করার জন্য নির্বাহী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছেন। স্পিকার জনসন সম্ভাব্য পদক্ষেপটিকে নির্বাচনী বছরের গিমিক হিসাবে সমালোচনা করেছেন।
পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নতুন কোনো নির্বাহী পদক্ষেপের ঘোষণা দেবেন না বাইডেন।