তালাশ ডেস্ক:
ফেনী জেলার উত্তরের জনপদের উপজেলা ফুলগাজী। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধাণমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ির উপজেলাও এটি। তবে বর্তমানে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগের ঘাঁটিতে রুপান্তর হয়েছে এই উপজেলাটি। রাজনৈতিক মাঠেও দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন একাধিক ব্যাক্তি।
সর্বশেষ সব আলোচনা ছাড়িয়ে সকলের কেন্দ্রবিন্দুতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ২০২৪। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়া কিংবা দল মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও অনেকে দলীয় সমর্থন পেতে দলের হাইকমান্ডের কাছে ধর্না দিতে শুরু করছে। ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই পাড়া-মহল্লা চষে ভেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা।
জেলার বাকি ৫ উপজেলার পাশাপাশি ফুলগাজীতেও দলের সবুজ সংকেতের আশায় রয়েছেন তিন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।
উন্নয়ন-সততা-প্রবীণ রাজনীতিবিদের ব্যাখ্যা দিয়ে মাঠে আছেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলীম মজুমদার। এ উপজেলা থেকে ফুলগাজীর সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামের হত্যার পর আলিম মজুমদার টানা দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক জয়ের আশায় রয়েছেন।
দক্ষ সংগঠক-নিষ্ঠা রাজনীতি-সঠিক দায়িত্ব পালনের বার্তা দিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: হারুন মজুমদার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ও আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। উপজেলা নির্বাচনে তিনি শক্ত অবস্থানেই রয়েছেন।
অপরদিকে এই দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে দলীয় একাধিক নেতাকর্মী-সুশীল সমাজের সমর্থন ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার জানান দিচ্ছে, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ পারভেজ তুহিন। যিনি দেশের বাহির থেকে (ইউরোপ) উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে দীর্ঘদিন ধরে নিজ ব্যবসার পাশাপাশি দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এই তিন প্রার্থী ছাড়াও মাঠে নাম শুনা যায়, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ আবদুল্লার। তবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন না বলে তিনি গণমাধ্যমেকে নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ: ১ম ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ই মে। সারাদেশে ১৫২ উপজেলার মধ্যে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলা।